কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্বাধীনতার জন্য দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ

সমকাল তোফায়েল আহমেদ প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২২, ০৯:৪৫

একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এই দিনটির জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনভর সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন- 'এক দিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালিদেরই হতে হবে।' সেই পথেই তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছেন। মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা দাবির মাধ্যমে বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য' তথা আগরতলা মামলার আসামি হিসেবে ফাঁসিকাষ্ঠে গেছেন। কিন্তু বাঙালির জাতীয় মুক্তির প্রশ্নে আপস করেননি; বরং মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন।


জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখব, একটা ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনা সম্পর্কিত। বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন একটি লক্ষ্য নিয়ে। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অগ্রগামী বাহিনী। জাতীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু যা বলতে পারতেন না; ছাত্রলীগ দিয়ে সেটা বলাতেন। অনেকে অনেক কথা বলেন, অনেক কিছু লেখেন- কে তুলেছে 'স্বাধীন বাংলার পতাকা', কে বলেছে 'জাতীয় সংগীত'-এর কথা ইত্যাদি। ইতিহাসের সত্য হচ্ছে, এগুলো বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নির্ধারিত। বঙ্গবন্ধুর অনুমোদন ছাড়া কোনোকিছু হয়নি। নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু '৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।


'৭০-এর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও ১৭ ডিসেম্বর ছিল প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নির্বাচন ৭ ডিসেম্বর না হয়ে '৭১-এর ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ফলে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে থেকে সারা বাংলাদেশ সফরের সুযোগ পাই। আমরা সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ জাতীয় পরিষদে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি, আর প্রাদেশিক পরিষদে ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করি। বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে '৭১-এর ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ছিল নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠান। সেদিনের শপথসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- '৬ দফা আজ আমার না, আমার দলেরও না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ৬ দফা জনগণের সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কেউ যদি এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তবে তাকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হবে এবং আমি যদি করি আমাকেও।' এই শপথ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৬ দফাকে তিনি আপসহীন অবস্থায় উন্নীত করেন। এর পর অনেক ঘটনা ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ ও ডাকসুর সমন্বয়ে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশ দেন। ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখে তাকে 'জাতির পিতা' আখ্যায়িত করে 'স্বাধীনতার ইশতেহার' পাঠ করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও