‘গ্রেপ্তারের সময় থেকে উজির মিয়ার ওপর শুরু হয় নির্যাতন’
'রাত সাড়ে ১২টার দিকে অন্তত ২০ জন পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করেন। আমার বড় ভাই দরজা খুলতেই তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এক পুলিশ। এরপর তার হাতে আঘাত করেন। তারপর গলা ধরে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে পায়ে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। আমি তখন পুলিশের পায়ে ধরেছি এবং আর না মারার অনুরোধ করেছি। তারপরও তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।'
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামের উজির মিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কথা এভাবে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন তার চাচাতো বোন শাবানা বেগম।
সেদিন রাতে এই মামলায় গ্রেপ্তার হন এই গ্রামের আরও ২ জন—শহীদুল ইসলাম ও আক্তার মিয়া। তাদের ওপরও চলে নির্যাতন। ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তারা নির্যাতনের সেই ভয়াবহতার কথা জানান।
গরু চুরির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পাল্টা অভিযুক্ত হন উজির
পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নবাসী ক্রমাগত সিঁদেল চুরি ও গরু চুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২০ জানুয়ারি শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন উজির মিয়াসহ শত্রুমর্দন ও ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ২১ বাসিন্দা।
অভিযোগপত্রে শত্রুমর্দন গ্রামের শামীম আহমদ, আনর আলী, সাহাব উদ্দিনকে গরু চোর ও আরও ২ জনকে প্রশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়াও, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর একই অভিযোগে গণস্বাক্ষর করেন গ্রামের ১৬২ জন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে শামীমকে সঙ্গে নিয়ে উজির, আক্তার ও শহীদুলকে আটক করে বলে জানান আক্তার ও শহীদুল।