কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সড়কের কুরুক্ষেত্রে স্বজনের মৃত্যু, জীবিতদের বেঁচে থাকার ট্র্যাজেডি

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৩

সাদা থান শাড়িতে পাঁচ নারী, সঙ্গে সাদা ধুতিতে মাথা কামানো তিন শিশু, পাশে ঘিয়ে রঙের শাড়িতে আরেক নারী। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের একটি ছবি। ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় ছবিটা ছাপা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তা ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কান্না, বিলাপ কিংবা আহাজারি নেই; স্তব্ধ, স্থিতধী ছবিটা যেন রবীন্দ্রনাথের অসীম সাদাকালোর চূড়ান্ত প্রকাশ। তবে সেখানে রং নেই, রূপ নেই; আছে নিঃসীম হাহাকার আর শূন্যতা আর জীবনের অনিশ্চয়তা।


মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ মানুষের ট্র্যাজিক পরিণতির ধ্রুপদি দৃষ্টান্ত। যুদ্ধের উত্তেজনা ও জয়-পরাজয়ের মীমাংসা একসময় শেষ হয়। যুদ্ধে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা তো এক অর্থে বেঁচেই গেছেন। কিন্তু যুদ্ধ যেখানে শেষ হচ্ছে, সেখানেই নারীদের জীবনে মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডি শুরু হয়। এক গান্ধারীই হারান তাঁর শত পুত্র। অন্য নারীরাও তাঁদের স্বামী ও সন্তানদের হারিয়েছেন। তাঁদের কান্না, শোক, বিলাপ, নিস্তব্ধতা, দীর্ঘশ্বাস তো বাকি জীবনভর। মহাভারতের স্ত্রী পর্বে সেই ভয়াবহ জীবন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় গঙ্গাতীরে স্বামীহারা-সন্তানহারা নারীদের আহাজারিতে।


কুরুক্ষেত্রের এই মহা ট্র্যাজেডির সঙ্গে বাংলাদেশের সড়কে মৃত্যুর যে মিছিল, তার তুলনা দূরবর্তী হবে না। নারী ও শিশুমৃত্যুকে বিবেচনায় নিলে বরং সেটা ছাপিয়ে যাবে। একেকটা দুর্ঘটনা (কাঠামোগত হত্যা) একেকটা পরিবারকে মুহূর্তেই ছবিতে পরিণত করছে। যে শিশু, যে নারী জীবিত থাকছেন, তাঁরা কীভাবে বেঁচে থাকছেন, আমরা কি ভাবতে পারছি? গত ৮ ডিসেম্বর মানু রানী, তাঁর পাঁচ পুত্রবধূ ও তিন শিশুসন্তানের জীবনে নেমে আসে অমোঘ ট্র্যাজেডি।


মানু রানীর স্বামী সুরেশের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য তাঁদের ৯ সন্তান এসেছিলেন চকরিয়ার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের হাসিনাপাড়ায়। গত ৮ জানুয়ারি একটি মন্দিরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গে ৯ ভাইবোন (৭ ভাই ও ২ বোন) পায়ে হেঁটে বাড়িতে আসার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেপরোয়া গতির একটা পিকআপ ভ্যান তাঁদের পিষে দেয়। মারা যান পাঁচ ভাই। আরেক ভাই লাইফ সাপোর্টে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিণত হয় সন্তানদেরও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। মানু রানী, তাঁর পাঁচ পুত্রবধূ ও তাঁদের তিন শিশুর সেই ছবিটাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও