দুই প্রকল্পে ঠোকাঠুকি
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সঙ্গে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ঠোকাঠুকি বেধেছে। আবদুল্লাহপুরে বিআরটির ওপর দিয়ে যাবে এক্সপ্রেসওয়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুটি খুঁটি (পিয়ার) নির্মাণের আগেই যদি বিআরটির ইউটার্ন র্যাম্প ও সার্ভিস রোডের কাজ শেষ হয়, তবে পরবর্তী সময়ে তা ভাঙতে হবে। ইউটার্ন র্যাম্পের জন্য এক্সপ্রেসওয়ের খুঁটি সাড়ে পাঁচ মিটার সরাতে হবে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহাবউদ্দিন খানকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) প্রকল্প পরিচালক মা জিহুয়া।
গত ১৮ জানুয়ারির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ের ১১৮ ও ১১৯ নম্বর খুঁটি বিআরটির নির্মাণ এলাকায় পড়েছে। ১১৮ নম্বর খুঁটি বিআরটির ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশের সার্ভিস রোডের পাশে নির্মিত হবে। ১১৯ নম্বর খুঁটি বিআরটির ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশের ইউটার্ন র্যাম্পের (ইউ-১) যে নকশা রয়েছে, তার ঠিক মাঝ বরাবর নির্মাণ করতে হবে। আবদুল্লাহপুরে এক্সপ্রেসওয়ে কীভাবে বিআরটিকে অতিক্রম করবে, তার নকশা প্রণয়ন হচ্ছে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে বিআরটির সেতু বিভাগ অংশের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালককে চিঠিতে জানিয়েছেন, ১১৮ নম্বর খুঁটি বিআরটির প্রকল্পের বাইরে পড়েছে। সেখানে সার্ভিস রোডের ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। বিআরটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১১৮ নম্বর খুঁটির পাইলিংয়ের কাজ শেষ করতে হবে।
এর আগে সিএমসি চিঠি দিয়ে ১১৯ নম্বর খুঁটির জন্য বিআরটির র্যাম্প সাড়ে পাঁচ মিটার সরাতে বলে। বিআরটি এর জবাবে জানায়, তাদের নির্মাণাধীন র্যাম্পের সঙ্গে সমন্বয় করে সার্ভিস রোডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ পর্যায়ে এসে র্যাম্প সরানো সম্ভব নয়। বড় গাড়ি চলাচলের জন্য বিআরটির ফ্লাইওভার থেকে কমপক্ষে ৫ দশমিক ৭ মিটার উঁচুতে (ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে হবে।