নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল

www.ajkerpatrika.com সঙ্গীতা ইমাম প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৮

শীতের আমেজ এখনো ফুরোয়নি। মাঘের কণ্ঠে বিদায়বেলার ভৈরবীটাও শৈত্যপ্রবাহের খবরে মোড়ানো। প্রকৃতি যেমনই হোক, পঞ্জিকার পাতা তো ওলটাবেই। অতএব, বাংলার ঋতুরাজ বসন্ত এসে গেছে। আজকের এই বিশ্বায়ন, ইন্টারনেটের যুগে অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও বাঙালির উৎসব-আতিথেয়তা কিন্তু হারিয়ে যায়নি। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের যুগে ষড়্ঋতুকে আজকাল আর আলাদা করতে না পারলেও তার জন্য তুলে রাখা আদরের তো কমতি নেই। প্রতিটি ঋতুকেই তাই আমরা বরণ করে নিই তার নিজস্বতার সুরে। পয়লা বৈশাখ থেকে পয়লা বসন্ত—প্রতিটি উৎসবে-পার্বণেই সাজানো থাকে বাঙালির বরণডালা। বসন্তবরণে এই রং যেন আরও রঙিন হয়ে ওঠে। ঋতুরাজ বলে কথা!


দোলপূর্ণিমায় বসন্ত উদ্‌যাপন হয় বহু যুগ ধরে, তবে তা ছিল অনেকাংশেই একটি ধর্মীয় আচার। প্রকৃতির এই বর্ণিল সময়কে সর্বজনীন উৎসবে রূপ দিল পয়লা ফাল্গুনের বসন্তবরণ আয়োজন। এখানেও বাঙালিকে পথ দেখালেন রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর সময় থেকেই নৃত্যগীতি আর উৎসবের আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বসন্তকে। স্বাধীন বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বসন্তবরণ উৎসব শুরু হয় ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে। কিন্তু বসন্ত তো বাঙালির প্রাণের ঋতু, রঙের ঋতু; তাই ব্যক্তিগত পরিসরে কী নিজস্ব আঙিনায় বসন্তবরণ বাঙালির পুরোনো ঐতিহ্য। ১৪০১ বঙ্গাব্দে প্রকৌশলী শফি উদ্দীন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজল দেবনাথ ও আরিফ হোসেন বনি তাঁদের স্বপ্নকে সফল করতে মাথার ওপরে ছায়া হিসেবে পেয়েছিলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় সংস্কৃতিজন ওয়াহিদুল হককে। বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানকে আহ্বায়ক ও প্রয়াত আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফকে সদস্যসচিব করে গঠিত হয়েছিল জাতীয় ‘বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদ’।


পয়লা ফাল্গুন ভোরবেলা চারুকলার বকুলতলায় যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে বসন্তকে আবাহন করে আয়োজন শুরু হয় প্রতিবছর। তারপর গীত, বাদ্য, নৃত্য, আবৃত্তি ও কথনে দিনব্যাপী চলে বর্ণিল অনুষ্ঠান। এই ধারাবাহিকতার ব্যত্যয় ঘটেনি ১৪২৫ সাল পর্যন্ত; বরং এ বছরগুলোয় বসন্ত উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। ফাগুনের প্রথম দিনটিতে হলুদ শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরার কথা কাউকে মনে করিয়ে দিতে হয় না। ব্যবসায়ীরা ফাগুন আসার আগেই হলুদ রঙের কাপড়ের দোকান সাজিয়ে তোলেন। ফুলের দোকানগুলো নানা ধরনের ফুলের মালায় সেজে ওঠে। আবিরের রং প্রকৃতির রঙের সঙ্গে মিলেমিশে আরও একটু আনন্দ ছড়িয়ে দেয় বাতাসে। ছুটির দিন না হয়েও পয়লা ফাল্গুনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অলিখিত ছুটির আমেজ থাকে। ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলা বর্ণিল হয়ে ওঠে এই পয়লা ফাল্গুনে। বসন্তের ফাগুয়ার রং ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মনে, মন আপনাতেই যেন গেয়ে ওঠে—‘...লাগল যে দোল/স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল...’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও