বাজেট ঘাটতি পূরণে কার্যকর উদ্যোগ নিন
দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে অর্থনীতির সূচকগুলোতে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন দেখা গেছে। সাধারণভাবে কোনো দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ বা মহামারিতে অর্থনীতির সূচকগুলো কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়ে। তবে তা নিতান্তই স্বল্প সময়ের জন্য। কিন্তু ২০২০ সালে প্রায় বছরজুড়ে করোনার আক্রমণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে; ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদন ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়।
করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রায় সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই স্বাভাবিক গতি ফিরে পেয়েছে। তবে অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে গতির অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন করোনাকালে ব্যাংকগুলোতে আমানত প্রবৃদ্ধি ছিল অস্বাভাবিক। ২০১৯ সালের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৫৮ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে একই সময়ে অর্থনীতি ছিল ব্যাপক কর্মমুখর। এ সময়ে আমানতের প্রবৃদ্ধি না বেড়ে ৫১ শতাংশ কমে গেছে।
ব্যাংকগুলোতে আমানত যখন কমার কথা তখন বেড়েছে, যখন বাড়ার কথা তখন কমেছে। এ অস্বাভাবিকতা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য হলো, ‘করোনা মহামারির কারণে শুরুতে সবকিছু স্থবির থাকায় অর্থনীতির সব সূচকেই নেতিবাচক চিত্র দেখা দেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সবকিছুতেই চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে এখন সূচকগুলোও লাফিয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে। কিন্তু তদারকি রাখতে হবে যাতে কোনো নেতিবাচক দিকে এ উল্লম্ফন ব্যবহৃত না হয়।