![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-02%252Fa7a9965e-052e-49fe-a9e3-a1eb7a34604d%252Fprothomalo_import_media_2015_10_18_0acdc1a29dd66f760e33d15265724db9_Pic_3.jpg%3Frect%3D0%252C28%252C643%252C338%26w%3D1200%26ar%3D40%253A21%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26mode%3Dcrop%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2022-01%252F5a36c819-05a2-4bfb-ac50-57dd67355acb%252FBanner_7814X143.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_width_pct%3D1)
জাপানের উদারতা কখনো ভুলবে না বাংলাদেশ
আপনি যদি কখনো কোনো জাপানির সঙ্গে পরিচিত হতে যান, তাহলে কথোপকথনের প্রথমেই আসবে ‘জাতীয় পতাকা’র প্রসঙ্গ। জাপানিদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে চেনে বা জানে আমাদের পতাকার মাধ্যমে। এ দেশের বাচ্চাদের যখন স্কুলে দেশ পরিচিতি শেখানো হয়, তখন থেকেই তারা দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ সম্পর্কে, এর সংস্কৃতি ও মানুষ সম্পর্কে জানে। লাল বৃত্তের দুই দেশের পতাকার এই অদ্ভুত মিলের কারণে বাংলাদেশকে জাপানিদের অনেক কাছে টেনেছে। বন্ধুত্বের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জাপান এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে আস্থা ও নির্ভরশীলতার বড় অংশীদার। স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের যে উন্নয়নের বাতায়ন বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হচ্ছে, তার নেপথ্যের বড় নায়ক পূর্ব এশিয়ার এ দেশ। বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার মেলবন্ধনে ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ‘সুবর্ণজয়ন্তী’।
প্রায় আট বছর আগে উচ্চশিক্ষার জন্য যখন জাপানে এসেছিলাম, তখন দেশটি সম্পর্কে তেমন জানাশোনা ছিল না। পড়াশোনার পাশাপাশি গত ছয় বছর দেশের শীর্ষ একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকতা করার সুবাদে ধীরে ধীরে দেশটি সম্পর্কে যেমন জেনেছি, তেমনি বাংলাদেশ নিয়ে জাপানিদের উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসাও হৃদয়ে অনুভব করেছি। নিয়মতান্ত্রিক কূটনৈতিক সম্পর্কের বাইরে বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্কোন্নয়নে দুই দেশের সরকারের যে আন্তরিকতা দেখতে পেয়েছি, তা সত্যি আর কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আছে কি না, আমার জানা নেই।
মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগ ও বিপদের সময় বাংলাদেশের পাশে জাপানের দাঁড়ানোর যে চেষ্টা, তার শুরুটা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পরের মাসই বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন জাপানের শ্রমমন্ত্রী তাকাশি হায়াকাওয়া। ১৯৭২ সালের ১৪ মার্চ ওই সফরে বঙ্গবন্ধুকে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানোর পরই তাঁর হাতে দেন জাপান সফরের আমন্ত্রণপত্র। বাংলাদেশ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এই তাকাশি হায়াকাওয়া নিজেই জাপানের সংসদে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদিও পরে ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করেছে।