শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর বার্তা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনে শৃঙ্খলা ফেরাতে মনোযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্তের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্যদের কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল এবং দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়াসহ নানা কারণে তৃণমূলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সংগঠনগুলো।
আন্দোলন-সংগ্রামের শক্তির উৎস এই সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজাতে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল থেকেও ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনগুলোকে সুশৃঙ্খল করে ঢেলে সাজাতে চান তারা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বৃহস্পতিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলনের কাজ আমরা আগেই শুরু করেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত রাখতে হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির পরে যদি দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হয় এবং সরকারি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয় তখন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোকেও সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তা শেষ করা হবে।