দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে নারীর ভূমিকা
সংস্কৃত শব্দ নৃ+ঈ থেকে নারী শব্দের উৎপত্তি। অর্থগতভাবে যা কামিনী, অবলা, রমণী ইত্যাদি শব্দে প্রকাশিত। তবে ভাবগত দিক থেকে এই শব্দগুলো নারীকে বোকা ও সরল হিসেবে অভিহিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আশার কথা হলো, একবিংশ শতকে নারী এই শব্দগুলোর জট-জটিলতা এবং অসম্মানজনক আচরণ হটিয়ে এগিয়ে চলেছে দুর্দান্ত গতিতে।
‘জারা রাদারফর্ড’ নামের একজন নারী এর সাম্প্রতিক সময়ের উদাহরণ। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই নারী একক প্রচেষ্টায় বিমান চালিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন।
নারীর এই যে ছুটে চলা তা আজকের নয়, বরং তা এক দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং সংগ্রামের ফলাফল। যদিও সনাতনি ভাবধারা বা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একে এড়িয়ে চলার তৎপরতা দেখা যায়। জাতিসংঘের মতে, বৈশ্বিক অর্জনে সমতায়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন অবশ্যম্ভাবী। এ কারণেই জেন্ডার বৈষম্য অনুধাবন, চিহ্নিতকরণ ও বিলোপ সাধনের জন্য এই সংস্থা একজোট হয়। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।