নতুন বিপর্যয় সিংকহোল
আমরা প্রাত্যহিক জীবনে বন্যা, সাইক্লোন, খরা, ভূমিকম্প, লবণাক্ততাসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে পরিচিত। এ রকমই নতুন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম হচ্ছে সিংকহোল যা তুরস্ক, ইসরাইল এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে।
কোনো একটি স্থানের ভূমি হঠাৎ অথবা ধাপে ধাপে ধসে যাওয়ার ফলে তৈরি হওয়া গর্তকে সিংকহোল বলা হয়। ভূগর্ভে থাকা পানি বা শিলা অতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে তৈরি হয় সিংকহোল। এগুলো সাধারণত কয়েক ফুট থেকে কয়েক শ’ একর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে যার গভীরতা এক থেকে ২০০০ ফুট পর্যন্ত হয়। এগুলো দেখতে অনেকটা অগভীর বাটি বা বোলের মতো হয়। কিছু সিংকহোলে পানি জমে আবার প্রাকৃতিকভাবেই পুকুর বা ডোবা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাবেই তৈরি হচ্ছে সিংকহোলগুলো। বিশ্বের অনেক দেশেই এই হোল বা গর্তগুলো দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে আবার ৩০০টিরও বেশি সিংকহোল তৈরি হতে দেখা গেছে। একটি সিংকহোল তৈরি হতে কয়েক দশক এমনকি শতাব্দী পর্যন্ত সময় লাগে। সম্প্রতি এর হার বহু বৃদ্ধি পেয়েছে।