সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনুসন্ধান কমিটিকে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে
বহু প্রতীক্ষার পর এবং অনেক বিতর্ক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য যে একটি আইন প্রণীত হলো, তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ এটি মূলত অতীতে যে ধরনের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাকেই একটি আইনের খোলস পরানো হয়েছে। নতুন আইনটির সীমাবদ্ধতার কারণে যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে, এই কমিটি সঠিক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবু আমরা আশা করছি, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’-এ উল্লিখিত অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হবে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কমিটিকে তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
অতীতের অনুসন্ধান কমিটিগুলো সত্যিকারের অনুসন্ধান পরিচালনার পরিবর্তে মূলত যে পোস্ট অফিসের ভূমিকা পালন করেছে, তা আপিল বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল মতিনের বক্তব্য থেকে আমরা জানতে পারি। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রথম দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়োগের সার্চ কমিটিতে সদস্য এবং পরবর্তীকালে মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটিতে চেয়ারম্যান ছিলাম। নতুন আইনে আগের সার্চ কমিটির একই ফর্মুলা রাখা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় চেয়ারম্যান বা সদস্যদের করার তেমন কিছুই থাকে না। কয়েকটি খামের মধ্যে ক্যাবিনেট ডিভিশন দ্বারা সরকারের পছন্দের কিছু ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর বাইরে যাচাই-বাছাই করার কোনো সুযোগ থাকে না।’
- ট্যাগ:
- মতামত
- নির্বাচন কমিশন
- সীমাবদ্ধতা