বাদ পড়তে পারেন অনেক শীর্ষ নেতা
অন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এবার দল পুনর্গঠনে হার্ডলাইনে যাচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দল শক্তিশালী করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যর্থ নেতা ও দায়িত্বে থাকা নিষ্ফ্ক্রিয় নেতাদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে। যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়নের পাশাপাশি তরুণদের জায়গা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে 'ফায়ার' হতে যাচ্ছেন নগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কয়েকজন সিনিয়র নেতা। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনে জড়িত স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামে দফায় দফায় উদ্যোগ নিয়েও দল পুনর্গঠন করতে পারেনি বিএনপি। এখানে কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দলটির শীর্ষ নেতারা। তৃণমূল পর্যায়ের অবস্থাও বেহাল। অবস্থার পরিবর্তনে এখানকার নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে দলটি। চট্টগ্রামের পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ অন্য সাংগঠনিক জেলায়ও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দল পুনর্গঠন করা হবে। মূলত আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, দল পুনর্গঠন নিয়ে স্কাইপের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর তিনি কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ, এসএম সাইফুল আলম ও নাজিমুর রহমানের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে নগর বিএনপি এবং এর আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটগুলোর অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন তিনি। এরপর মাঠ পর্যায়ে দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের কাছে লিখিতভাবে জানতে চান।
তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর সব তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করতে সর্বশেষ চট্টগ্রামে পাঠানো হয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খানকে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ক্লাবে তিন দিন অবস্থান করে নগর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তদের পাশাপাশি ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা জানতে সংশ্নিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। এমনকি চট্টগ্রামে অবস্থান করেও খোঁজখবর নিয়েছি। তাতে মনে হয়েছে, চট্টগ্রামে দলের অবস্থা ভালো নয়। মৌখিকভাবে বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতাকে জানিয়েছি। পরে লিখিতভাবে জানাব। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কিছুটা সময় লাগলেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইউনিট থেকে নগর কমিটি পর্যন্ত সাজানোর কথা বলেছি। যারা ব্যর্থ কিংবা নিষ্ফ্ক্রিয়, তাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। দল পুনর্গঠনের সময় তারা অটো ফায়ার হয়ে যাবেন।