
বিএ.২: বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের তুতো ভাই
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটের মধ্যে এর আরেকটি উপ ধরনের বিস্তার নাটকীয়ভাবে বাড়ছে কয়েকটি দেশে।
বিজ্ঞানীরা ওমিক্রনের সাধারণ রূপটির নাম দিয়েছেন বিএ.১, বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে অধিকাংশ কোভিড সংক্রমণের জন্য এ ধরনটিকেই দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যেই ওমিক্রনের আরেকটি উপধারা বিএ.২ ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু দেশে বিএ.১ কে ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে, যা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এই উপধারাটি সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।
ওমিক্রনের ‘বর্ণচোরা’ উপধরনপাবলিক ভাইরাস ট্র্যাকিং ডেটাবেজ ‘জিআইএসএআইডি’রতথ্য অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবার ওমিক্রন ধরনটি শনাক্তের পর ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী এর বিএ.১ ধরনটি। কিন্তু কিছু কিছু দেশে বিএ.২ উপধারাটির সংক্রমণ এখন বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিএ.১ এবং বিএ.২ ছাড়াও ওমিক্রনের আরও দুটি উপধারা বিএ.১.১.৫২৯ এবং বিএ.৩ তালিকাভুক্ত করেছে সংস্থাটি। জিন বিন্যাসের বিবেচনায় সবগুলো উপ ধরনই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু যেসব মিউটেশনের কারণে এদের আলাদা উপধারা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, সেই জিনগত পরিবর্তনের কারণেই এদের প্রত্যেকের আচরণে কিছু পার্থক্য আছে।
ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার সেন্টারের কম্পিউটেশনাল ভাইরোলজিস্ট ট্রেভর বেডফোর্ড সার্স-কোভ-২ এর বিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন।শুক্রবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ডেনমার্কে ৮২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৮ শতাংশ সংক্রমণের কারণ এখন বিএ.২।