কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে সামষ্টিক ব্যর্থতা

সমকাল আহমদ রফিক প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:০১

১৯৫২ থেকে ২০২২। সময়ের ব্যবধান অনেক। আজ ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন। সময় গড়িয়ে অনেক বড় অধ্যায় পেরিয়ে এলেও ভাষা আন্দোলনের সেই দিনগুলোর স্মৃতি বিস্মৃত হওয়ার নয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার রাজপথে আন্দোলনের সেই দিনগুলো এবং জীবন উৎসর্গ করা স্মৃতি সামনে জ্বলজ্বল করে ওঠে। স্কুলজীবন থেকেই যুক্ত ছিলাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে। তখনকার ছাত্র রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি ছিল না। ছাত্র রাজনীতি মানেই ছিল আদর্শের বড় জায়গা। স্কুল ও কলেজজীবনের ধারাবাহিকতায় মেডিকেল কলেজে এসেও ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হই। উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সেই সময়ে ছিল প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির ঘাঁটি। যখন ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হলো তখন সক্রিয়ভাবে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাষা আন্দোলনে যুক্ত করায় আমাকে পালন করতে হয় সংগঠকের দায়িত্ব।


'৫২-এর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট মুহূর্তে সৃষ্টি হয়নি। এর অনুসন্ধানে আমাদের ফিরে যেতে হবে অনেক পেছনে। যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হয় তখন অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের মে মাসে মুসলিম লীগের নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামান বললেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। তখন কলকাতা ইত্তেহাদ ও আজাদ পত্রিকায় আবদুল হক, জাহেদী প্রমুখ বাংলা ভাষার পক্ষে নিবন্ধ লেখেন। আর পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর গণআজাদী লীগ, যুবলীগ, তমদ্দুন মজলিশ বাংলা ভাষার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে। ওই সময় সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ডাক, রেলসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে উর্দু ভাষার ব্যবহার শুরু করে। তখন এর প্রতিবাদ করেছিলেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। এর পরের ইতিহাস সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন। ১৯৪৮ সালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের ব্যবহারিক ভাষা করার দাবি জানান। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান তখন বললেন, এটা মুসলিম দেশ। তাই উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। নাজিম উদ্দিন ও নূরুল আমিন তাকে সমর্থন করলেন। ১৯৪৮ সালের মে মাসে আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন তমদ্দুন মজলিশ ও সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের একটা বড় অংশ মাঝপথে আন্দোলন স্থগিত করেন। নাজিম উদ্দিনের আট দফা শান্তি চুক্তি প্রস্তাব গ্রহণ করে তারা ওই সিদ্ধান্ত নেন।


১৯৪৮-১৯৫১ সাল পর্যন্ত সময়টা খুব খারাপ কেটেছে। একদিকে চলছিল ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে চলছিল আন্দোলনের প্রস্তুতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। গণপরিষদের সব সদস্যের কাছে পাঠানো হয় স্মারকলিপি। ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানের জনসভায় খাজা নাজিম উদ্দিন বললেন, 'উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা'। তার ওই ভাষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। ৩১ জানুয়ারি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ওই সংগঠনের সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ওই পরিষদে সরকারবিরোধী সব দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাসের প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি আমতলার কলাভবনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো- ২১ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন বসবে, সেদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হবে সভা-সমাবেশ। ২১ ফেব্রুয়ারির সভা-সমাবেশ ঘিরে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। তা পাকিস্তান সরকারকে ভীত করে ফেলে। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সরকারের পক্ষে ঘোষণা করা হয়, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী ঢাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ। ওই ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আরও উত্তেজিত করল। ঘোষণা দেওয়া হলো- ১৪৪ ধারা ভাঙার এবং একুশের সব কর্মসূচি পালন করার। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও