কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাকে হতে হবে আধুনিক প্রযুক্তির ভাষা

কালের কণ্ঠ আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৫

আমার প্রয়াত বন্ধু সৈয়দ শামসুল হক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভাষাকন্যা উপাধি দিয়েছিলেন। এর একটি কারণও ছিল। বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিকীকরণের ব্যাপারে তাঁর একটা বিরাট ভূমিকা আছে। ইউনেসকোর প্যারিস সম্মেলনে তাঁর উদ্যোগেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃৃভাষা দিবস করা হয়।


এই সুবাদে আমার লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গান হয়। এখন তা ১১টি কি ১২টি দেশে তাদের ভাষায় গীত হয়। বাংলাদেশের এত বড় সম্মান শেখ হাসিনার উদ্যোগেই অর্জিত হয়। আজ সেই ভাষার মাসের প্রথম দিবস।


এই দিবসে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন—সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে বাংলাভাষীদের মধ্যে আজ থেকে শুরু হবে ভাষার মাসের অনুষ্ঠান। আগে এই অনুষ্ঠান ছিল একটা আন্দোলন। ভাষার জন্য লড়াকু মানুষের আন্দোলন। এই আন্দোলন সাফল্য লাভ করার পর অর্থাৎ বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এই আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে। এখন এটা অনুষ্ঠানমাত্র। সারা বিশ্বে এই অনুষ্ঠান হয়।


কিন্তু অনুষ্ঠান দিয়ে ভাষার অগ্রগতি হয় না। ভাষার অগ্রগতির জন্যও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হয়। কবি জিওফ্রে চসারের আগে ইংল্যান্ডের রাজকীয় ভাষা অর্থাৎ রাষ্ট্রভাষা ছিল ফরাসি। ইংল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণি ফরাসি ভাষায় কথাবার্তা বলে আভিজাত্যের গৌরব অনুভব করত। কবি চসার প্রথম ফরাসি ভাষার আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। তিনি ইংরেজিতে কবিতা লিখতে শুরু করেন। ক্রমে ক্রমে তাঁর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে এবং ইংরেজ কবিরা ফরাসি ছেড়ে স্বদেশি ভাষায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। এর পরও ইংরেজি ভাষা সংস্কারের আন্দোলন চলে। বার্নার্ড শ আধুনিক ইংরেজি ভাষারও সংস্কার ও সম্প্রসারণ দাবি করেছিলেন। সেই থেকে ইংরেজি ভাষায় নিত্যনিয়ত শব্দচয়ন ও সংগ্রহ চলছে। বাংলা ভাষা থেকেও পণ্ডিত, ধর্মঘট, বাংলো ইত্যাদি শব্দ তারা আহরণ করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও