মোহমুক্ত পদকের খোঁজে
সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সংবাদটি বাংলাদেশের পত্রিকা-মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। শিল্পী মনে করেছেন, পদক প্রদানের বিষয়ে অবগত করার সময় তাঁকে যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি। হিন্দিভাষী সমন্বয়কের কথা বলার ধরনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অপমানিত বোধ করেছেন।
পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাবনাটি পছন্দ না হওয়ায় পদক প্রত্যাখ্যানের এমন নজির খুব একটা নেই। তবে এ বিষয়টি বিবেচিত হচ্ছে ‘হিন্দি বনাম বাংলা’ ভাষার আপেক্ষিক সংঘাতের রূপক হিসেবে।
বলা বাহুল্য, আমাদের দেশে প্রকাশ্যে পদক লাভে আগ্রহ কিংবা উৎসাহ না দেখালেও শিল্প-সংস্কৃতিজগতের বেশির ভাগ ব্যক্তি পদক কিংবা সম্মাননা লাভে প্রভূত আনন্দ লাভ করেন। সম্ভবত যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাঁদের পুরস্কার পাওয়ার সংবাদটি অবহিত করা হচ্ছে কিংবা পুরস্কারপ্রাপ্তদের কোনো অভিযোগ নেই।
রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার এমন নজির খুব একটা না থাকলেও রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে মুষ্টিমেয় শিল্পী-সাহিত্যিককে অতীতে পদক প্রত্যাখ্যান করতে দেখা গেছে।
১৯৮২ সালে লেখক সৈয়দ শামসুল হক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। একই বছর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে নাট্যকার মামুনুর রশীদ বাংলা একাডেমির পদক নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। অভিনেতা গোলাম মোস্তফা এবং অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা দুজনেই জাতীয় পুরস্কারের পদক প্রত্যাখ্যান করে আলোচিত হয়েছিলেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- প্রত্যাখ্যান
- পদক প্রদান