You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জনগণ কিবরিয়া হত্যার বিচার দেখতে চায়

গত ২৭ জানুয়ারি ছিল শামস কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনটি সামনে এলে ব্যক্তিগত স্মৃতির পাতায় অনেক স্মৃতি এসে ভিড় করে কিবরিয়া ভাইকে নিয়ে। আবেগে আক্রান্ত হই, চোখের কোণে ঝিলিক দিয়ে ওঠে বেদনার অবাধ্য অশ্রু। বহুদিন একসঙ্গে দুজন কাজ করেছি, পথ চলেছি, ক্ষত-বিক্ষত হয়েছি। আজ কিবরিয়া ভাই নেই ভাবতেই মনটা কেমন করে ওঠে। যার হাত ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, সেই আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও কিবরিয়া ভাইয়ের হত্যার বিচার শেষ হচ্ছে না-এ নালিশ কার কাছে জানাব। তবু আশায় বুক বেঁধে আছি একদিন কিবরিয়া হত্যার বিচার হবে, শাস্তি পাবে হত্যাকারীরা। এটুকুও কম সান্ত্বনার কথা নয়।

কিবরিয়া ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হতো না-এমন দিনের কথা আমার মনে পড়ে না। দেখাও হতো ঘন ঘন। সেই ১৯৯১ সাল থেকে তার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ক্রমে বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছিল। বইমেলা ২০০৪-এ প্রকাশিত তার বই ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য’ গিফ্ট করার সময় লিখেছিলেন-‘পরম সুহৃদ বন্ধুবর মোনায়েম সরকারকে’। শেষবারের মতো হবিগঞ্জ যাওয়ার আগের রাতেও ফোনে আমাদের কথা হয়। আমি কিছুটা অনুযোগ করে বলেছিলাম, অসুস্থ শরীরে এত দৌড়ঝাঁপ না করলে হতো না! তিনি বললেন, ‘এই তো যাবো আর আসবো।’ ‘মোনায়েম বলে ডাকতে পারতেন আমাকে, ‘তুমি’ও বলতে পারতেন বয়সের কারণে। কিন্তু আমাকে তিনি বরাবরই বলতেন ‘মোনায়েম সাহেব’। সেদিনও বললেন, নির্বাচনি এলাকায় মাঝে মাঝে যেতে হয়। সবাই প্রত্যাশা করে আমাকে। স্থানীয় নেতাকর্মীদেরও চাঙ্গা রাখতে হয়। আর আওয়ামী লীগকে তো আন্দোলন-সংগ্রামেই থাকতে হবে। নির্বাচনই তার একমাত্র পথ। খুব যুক্তি দিয়ে কথা বলতেন কিবরিয়া ভাই। মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শুনতেন। সব কাজ করতেন গুছিয়ে। আমি কিছুটা অগোছালো, আবেগপ্রবণ। কিবরিয়া ভাই মাঝেমধ্যে ঠাট্টা করতেন সংসার করিনি বলে। ভুল-ত্রুটি মার্জনা করতেন। আমিও ভেতরে ভেতরে তার আশ্রয় ও স্নেহের কাঙাল হয়ে পড়েছিলাম। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সূত্রে দেশের শত শত বিশিষ্টজনের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছে আমার। কই, কারও সঙ্গে তো এত অল্প সময়ে এত নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। নিজ গুণে তিনি তার পরিবারের একজন সদস্যও করে নিয়েছিলেন আমাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন