শেষ পর্যন্ত যেন সিনেমার জয় হয়
একসময় এফিডিসির গেটে দিনভর ভিড় লেগে থাকতো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ শুধু এফডিসি দেখার জন্য ঢাকায় আাসতো। এফডিসির সামনে দিনভর দাঁড়িয়ে থেকে প্রিয় নায়ক-নায়িকাকে একঝলক দেখার তৃপ্তি নিয়ে ফিরে যেতো।
সেই দিন ফুরিয়েছে অনেক আগেই। তবে হঠাৎ করেই এফডিসি এবং বাংলাদেশের সিনেমা দেশের সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। যদিও বিষয়টি চলচ্চিত্র সংক্রান্ত নয়, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সম্পর্কিত; তবুও এ আগ্রহ আশাজাগানিয়া।
শুক্রবার দিনটি ছিল অন্যরকম। রাজধানীতে বসেছিল তারার মেলা। আকাশের তারকারা সব মাটিতে নেমে এসেছিলেন যেন। এফডিসিতে বসেছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আর শিল্পকলা একাডেমিতে ছিল অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন। তবে সবার সব আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন।
মূলধারার গণমাধ্যম তো বটেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব সয়লাব ছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের নানা খবরে। রিয়াজের কান্না তো রীতিমতো ভাইরাল। কাঞ্চন-নিপুণ, মিশা-জায়েদ প্যানেল নিয়ে ছিল নানামুখী আলোচনা। নিপুণ চিত্রনায়িকা হিসেবে যতটা না জনপ্রিয়, নির্বাচনের মাঠে তারচেয়ে বেশি।
মাত্র ৪২৮ জন ভোটারের একটি সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে সারাদেশের মানুষের এত আগ্রহ একটু বিস্ময়করই। ব্যাপারটা এমন নয় যে, এই প্রথম শিল্পী সমিতির নির্বাচন হচ্ছে। আগেও হয়েছে, কিন্তু সে নির্বাচনের খবর কেউ রাখেনি। তাহলে এবার কেন সবাই শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এমন মেতে উঠলো? এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজেছি অনেক।
বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ভেতর রয়েছে নির্বাচনী উন্মাদনা। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই প্রহসন, একতরফা ফলাফল। অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আমেজ হারিয়েই গিয়েছিল প্রায়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শিল্পী সমিতির নির্বাচন