কেন কমলো বুস্টার ডোজের বয়স? জানুন
এক মাস আগে থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বুস্টার ডোজের কার্যক্রম। শুরুর দিকে ষাটোর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের টিকার এই ডোজ দেওয়া হলেও কিছু দিন পর বয়সের সীমা ১০ বছর কমানো হয়। সর্বশেষ আজ বয়সের সীমা কমিয়ে ৪০ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এক মাসের মধ্যে বয়সের এই সীমা কেন আরও ১০ বছর কমানো হলো রবিবার তা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সকালে রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুস্টারের টিকা দেওয়ার বয়সসীমা কমানোর কারণ জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক জানান, আগে ৫০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হলেও তাতে মানুষ খুব একটা টিকা নেননি। তাই বয়সের এই সীমা ১০ বছর কমানো হয়েছে।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পর ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়াদের কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। জানুয়ারিতে সারা দেশে শুরু হয় সেই কার্যক্রম। আর গত ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন এবং যারা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। পরে ১৭ জানুয়ারি সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। কিন্তু বয়স ৫০ করা হলে তাতেও টিকা নিতে মানুষের খুব একটা সারা মেলেনি। যে কারণে সেই সীমা আরও ১০ বছর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।