ওমিক্রন ভীতি বনাম সতর্কতা
গত ২৬ শে নভেম্বর ২০২১ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে ভেরিএন্ড অফ কন্সার্ন বলে ঘোষণা দেওয়ার সময় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি মিউটেশন (৫০ টিরও বেশি) সমৃদ্ধ সম্ভাব্য এক ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস এর ধরন বলে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন| সবচেয়ে দ্রুত ছড়াতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে আক্রমণ করতে পারে এমন দুটি বৈশিষ্ট্যের কথাই তখন কেবলমাত্র জানা ছিল ল্যাব টেস্ট এর কল্যাণে| অন্য সব বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অন্ধকারে থাকায় সারা বিশ্ব এক ধরনের চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল|
অন্যসব বৈশিষ্ট্য জানবার জন্য অপেক্ষা ছাড়াই জানা দুটি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উন্নত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ নভেম্বরের শেষ দিক হতে তাৎক্ষণিক ভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে দারুণভাবে গুরুত্ব এবং প্রসারের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল| অস্বাভাবিক শক্তিশালী সংক্রমণের অধিকারী ওমিক্রন এর বিস্তার ঠেকানো না গেলেও যেন মৃত্যু ঠেকানো যায় এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় কিংবা প্রথম বুস্টার ডোজ না নেওয়া সকল ব্যক্তিদেরকে ভ্যাকসিন এর আওতায় নিয়ে এসে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল| একই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইসরাইল দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু করেছিল|