দাম বাড়ছে চালের, দায়ী কি মধ্যস্বত্বভোগীরাই?
চলতি মৌসুমে বেশি বৃষ্টি হয়েছে এই রাজ্যে৷ বর্ষার পরও প্রতি ঋতুতে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে৷ এর ফলে একটা আশঙ্কা ছিলই যে শাকসবজির দাম বাড়বে৷ এর সঙ্গে বজ্রপাতের মতো হু হু করে বেড়েছে চালের দাম৷ এর ফলে ডাল-ভাতে বেঁচে থাকা বাঙালির পকেটে টান পড়েছে৷ এক ধাক্কায় বিভিন্ন চালের দাম বেড়েছে কেজি পিছু পাঁচ থেকে ১০ টাকা৷ কেন এই দাম বৃদ্ধি, দোষ কি শুধু আবহাওয়ার? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর পিছনে রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে৷ দায় রয়েছে দালালচক্রেরও৷
পশ্চিমবঙ্গে বহুল ব্যবহৃত বিভিন্ন চালের পাশাপাশি মিনিকেট এবং বাঁশকাঠি অগ্নিমূল্য৷ দুই মেদিনীপুর এবং বর্ধমানের পাশাপাশি সমস্ত মধ্যবিত্ত মহলেই এই চাল পছন্দ করা হয়৷ বিশেষজ্ঞরা বলেন, আসলে এই নামের কোনো ধান নেই৷ দেশি চালকেই ক্রমাগত ছেঁটে এই সরু চালগুলি তৈরি হয়৷ উপ কৃষি অধিকর্তা অনুপম পাল বলেন, ‘‘যে চালগুলির চাহিদা আছে, সেগুলিরই দাম বাড়ানো হয়৷ যে দেশি চালগুলো আছে, সেগুলোর এত উৎপাদন হয় না যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে৷ মিনিকেট, জিরাকাঠি, লক্ষ্মীভোগ, বাঁশকাঠির মতো চালগুলি মিলমালিকদের দেওয়া নাম৷ দেশি চালকে পালিশ করে এই সব চাহিদাসম্পন্ন চাল জোগান দেওয়া হয়৷’’