৪০ বছর পর ঘুম ভাঙল প্রশাসনের

www.ajkerpatrika.com চট্টগ্রাম প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:০০

কোর্ট হিলে জেলা প্রশাসনের নাকের ডগাতেই একের পর এক ভবন তুলেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। গত ৪০ বছরে পাঁচটি ভবন নির্মাণ করা হলেও তখন কোনো আপত্তি তোলেনি প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আইনজীবী ও সেবাপ্রার্থীদের কেন্দ্র করে এই পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, খাবার হোটেল, এমনকি শুঁটকির বাজারও। চার দশক ধরে এসব স্থাপনা তোলার সময় যেন নীরব দর্শক ছিল জেলা প্রশাসন।


তাদের সেই ঘুম ভাঙে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এ সময় আইনজীবীরা নতুন করে আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এখন জেলা প্রশাসন বলছে, নতুন দুটি ভবন তো বটেই, কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতির আগে নির্মাণ করা পাঁচ ভবনসহ ৩৫৩টি স্থাপনাই অবৈধ। এরপর সরকারি ২৫ দপ্তর থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চিঠি আসে।


আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ইজারা দলিলের ভিত্তিতে পরীর পাহাড়ে আইনজীবী সমিতিকে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি ইজারা দেওয়া হয়। আশির দশকে সেখানে ‘আইনজীবী সমিতি ভবন’ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইনজীবী এনেক্স-১, আইনজীবী এনেক্স-২, শাপলা ও দোয়েল নামে আরও চারটি ভবন নির্মাণ করে আইনজীবীদের চেম্বার বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনজীবী সমিতি ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী ভবন’ ও ‘একুশে আইনজীবী ভবন’ নামে আরও ১২ তলা ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করলে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।


ভবন হয় সিডিএর নকশা মেনে: জেলা প্রশাসন বলছে, সব ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ইজারা নেওয়া ‘টিলা শ্রেণির’ জমির অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৪ একর বেশি জমি দখল করেছে আইনজীবী সমিতি। তবে ওই পাঁচটি ভবনের নকশাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে।


জেলা প্রশাসনের দাবির পর আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন কীভাবে নির্মাণ হয়েছে এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত না হয়ে নকশা অনুমোদন দিয়েছে কিনা এসব বিষয়ে সিডিএর কাছে জানতে চায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান ও উপপ্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈসা আনছারীর সই করা এক চিঠিতে সম্প্রতি সেটির জবাব দেওয়া হয়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও