CAA: ক্ষতিপূরণ দাও, পুলি‌শি হেনস্থা উত্তরপ্রদেশে

আনন্দবাজার (ভারত) উত্তর প্রদেশ প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:১১

প্রথমে হয়েছে ধর-পাকড়। দাঙ্গা, সরকারি কাজে বাধা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র, বেআইনি জমায়েত এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মতো অভিযোগে একের পর এক মামলা দিয়ে জেলে ভরে হেনস্থা করা হয়েছে গরিব মানুষগুলোকে। জেল থেকে জামিনে বেরিয়েও রেহাই নেই। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন একতরফা হিসেব দিয়ে পুলিশ এ বার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে সেই সব পরিবারকে। এ সব দেখে আতঙ্কে সিঁটিয়ে যাওয়া পরিবারগুলির প্রশ্ন— দু’বছর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আর কত ‘প্রতিশোধ’ নেবে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের বিজেপি সরকার!


 

 

দেশজুড়ে বেনজির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকে নস্যাৎ করে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন’ (সিএএ) পাশ করিয়ে নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু তার পরে তা কার্যকর করেনি এখনও। কবে করবে তার কোনও দিনক্ষণও বলতে পারছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের নানা শহরে ও মহল্লায় যে সব সাধারণ মানুষ পরিবার নিয়ে দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে এই আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন, দু’বছর ধরে তাঁদের সইতে হচ্ছে প্রশাসনের নির্যাতন। এমনিতেই অন্য সব রাজ্যের তুলনায় উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নির্দয় আচরণ করেছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে যথেচ্ছ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে রাজ্যে পুলিশের হাতে মারা গিয়েছিলেন ২২ জন। আন্দোলনকারীদের ধরে গুরুতর অভিযোগে একের পর এক মামলা দিয়ে হেনস্থাও করা হয়েছে। এর পরে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নামে চলছে আর এক দফা নির্যাতন। অভিযোগ, সম্পত্তি ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত জড়িত ছিলেন— এমন কোনও প্রমাণ দেখাতে রাজি নয় পুলিশ। এমনকি এ জন্য কোনও আইনও হাতে নেই তাদের। হাই কোর্টে একটি মামলায় বিচারপতির নির্দেশকে সর্বজনীন হিসেবে দাবি করে তারা ভোটের মুখে ক্ষতিপূরণ আদায়ের অভিযান শুরু করেছে। সেই নির্দেশও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও