কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পূর্বাপর

সমকাল রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৪৬

গুম হওয়া মানুষদের স্বজনদের আর্তনাদ কে শোনে? 'কীসের পুলিশ? আমি থানায় গেছি, পুলিশ আমাকে থানা থেকে বের করে দিয়েছে। পুলিশের ডিসি আমার চিঠিটা একবার পড়ল না। বলে, র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ; আপনি র‌্যাবের কাছে যান। পুলিশ এখন তিন বছর পর এসে জিজ্ঞেস করে, আমার স্বামী আসলে গুম হয়েছে, নাকি কোথাও চলে গেছে? আমাদের কষ্ট লাগে, ঘেন্না আসে এখন।'


কথাগুলো বলছিলেন গুম হওয়া ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী নাসিমা আক্তার। গুম হওয়া পরিবারগুলোর সংগঠন 'মায়ের ডাক' ১৫ জানুয়ারি প্রেস ক্লাবে সমবেত হয়ে জানায়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের বাসায় গিয়ে তাদের ওপর নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে পুলিশ। বাসায় বাসায় গিয়ে জেরা করা, থানায় ডেকে পাঠানো, পুলিশের লিখিত বিবৃতিতে সইয়ের চাপ; এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে সাদা কাগজে সই নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ৮-১০ বছর আগে যেসব মানুষ গুম হয়েছেন, যাদের পরিবার বারবার সন্ধান করেও এটুকু জানতে পারেনি তারা বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে, যে পরিবারগুলোর সন্তানরা বড় হয়েছে 'বাবা' ডাকটির সঙ্গে পরিচিত না হয়েই। যে পরিবারগুলো দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে প্রতিবার ভাবে, হারানো স্বজন ফিরে এলো বুঝি; সেই পরিবারগুলোর ওপর নতুন করে নেমে এসেছে এক নতুন ধারার নির্যাতন।


বাংলাদেশে গত এক দশকে যারা গুম হয়েছেন, তাদের কেউ কেউ ফিরে এলেও আসেননি অনেকে। যারা ফিরে এসেছেন, তারাও জানাননি, ঠিক কী হয়েছিল তাদের। কারা নিয়ে গিয়েছিল, কেন নিয়ে গিয়েছিল, কোথায় রেখেছিল তাদের, কেমন আচরণ করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে। এসব বিষয়ে কখনোই মুখ খোলেননি ফিরে আসা মানুষ। পরিবারের তরফ থেকেও বলা হয়নি কোনো কথা। বরং স্বজন ফিরে আসার স্বস্তিই মুখ্য হয়েছিল প্রতিটা ক্ষেত্রে। চাক্ষুষ সাক্ষী থাকার পরও জিডি করতে গিয়ে কখনোই বলা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা। কারণ একটাই- এ কথা বললে জিডি নেবে না পুলিশ। প্রায় সর্বক্ষেত্রে বছরের পর বছর পার হলেও জিডির কোনো তদন্ত হয়নি। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বারবার বলা সত্ত্বেও কর্ণপাত করেনি সরকার।


অবশেষে সরকারের টনক নড়ল যখন নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন প্রশাসন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাব এবং র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর। এ নিষেধাজ্ঞার সহজ পরিণতি হলো, সেদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া এবং সেদেশে কোনো সম্পদ থেকে থাকলে সেটা বাজেয়াপ্ত হওয়া। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য এ দফায় বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও