‘পিয়ন পর্যন্ত আমাদের দাম দেয় না’ কেন
‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’—কথাটার মর্ম যখন কর্মচারী বোঝে না, কর্তার তখন ‘ঘর্ম বহে গাত্রে’। কারণ, তখন কর্তার ইচ্ছাকে বাইপাস করে ছাইপাঁশ মার্কা কর্ম সম্পাদিত হয় কর্মচারীর ইচ্ছায়। তখন কর্তা পড়ে ফাপরে। কর্তা তখন বুঝতে পারে তার ‘ইচ্ছা’র তালুকে তলেতলে কর্মচারী বাঘের মতো ভাগের থাবা বসিয়ে ফেলেছে। ওদিকে তার চাকরি খাওয়াও যায় না, কারণ তদ্দিনে কোপন কর্তার গোপন খবরভরা হাঁড়ি কর্মচারীর বগলের তলে চলে গেছে। কিছু বললে সে সেই হাঁড়ি জুতসই কোনো হাটে গিয়ে ঠাস করে ফাটিয়ে দিতে পারে। ‘না যায় কওয়া, না যায় সওয়া’ টাইপের দুর্গতিতে পড়ে কর্তার তখন ‘আমার প্যাটের ছাও, আমারেই খাতি চাও?’—বলে আছাড়িপিছাড়ি করা ছাড়া গতি থাকে না।
কিছুদিন ধরে এই কিসিমের আহাজারি কোনো কোনো এমপি সাহেবের মুখে শোনা যাচ্ছে। তাঁদের কাউকে কাউকে ‘সব গেল, সব গেল’ টাইপের ‘মর্সিয়া মাতমে’ সংসদের বর্তুলাকার কক্ষের বাতাস ভারী করে তুলতে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের ক্ষোভ ও হতাশামিশ্রিত ভাষণের চুম্বক কথা হলো, দেশ চালানোর খবরদারি এখন দেশের মালিক ওরফে জনগণ ওরফে জনপ্রতিনিধিদের হাতে আর নেই। তা বেহাত হয়ে জনগণের কর্মচারী ওরফে আমলাদের হাতে চলে গেছে। এই কষ্টের কথা ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার না করে তাঁরা তা সংসদের ‘শেয়ারহোল্ডারদের’ কাছে শেয়ার করছেন।