রেঞ্জ কর্মকর্তার দাপটে তটস্থ রাতারগুলবাসী

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

সিলেট বন বিভাগের সারি রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিনের দুর্নীতি ও অবৈধ ক্ষমতার দাপটে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন গোয়াইনঘাটের জাফলং মুসলিমনগর ও রাতারগুল মহেশখের এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন জাফলং ও রাতারগুল মহেশখের এলাকার সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে সিলেটের বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও)সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে বারবার অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার পাননি বলেও জানান তারা। এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিলেট বন বিভাগের সারি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন এক আতঙ্কের নাম। বেশ কয়েকবছর আগে রেঞ্জ সাদ উদ্দিন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর অনেকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। গোয়াইনঘাট উপজেলার কুনকুড়ি গ্রামে নিজের বাড়ি হওয়ার সুবাদে এবং ১৯৯১ সালে চাকুরিতে তিনি যোগদানের পর শুধু ২০০৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সুন্দরবনে ছিলেন। বর্তমানে ১১ বছর ধরে সিলেটে চাকরিরত থাকায় সরকারি পদের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে বন বিভাগে নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, শুধু তা-ই নয় সারি রেঞ্জের অধীনে জাফলং বিটের অধীনে বেশিরভাগ জায়গা বছরের পর বছর ধরে পাথর ক্রাশার মালিকদের কাছে বেদখলে রেখে মাসিক ও বছরভিত্তিক মাসোহারা নেন সাদ। কয়েকমাস আগে এক স্থানীয় সাংবাদিকের গোপন অনুসন্ধানী ভিডিওতে বেরিয়ে আসে এসব খবর। সাদ উদ্দিন দ্বারা ব্যবহার হওয়া বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম এসব অপকর্ম করে ক্লোজ্‌ড হয়েছিলেন। পরে সাদ উদ্দিন নিজ স্বার্থের জন্য জহিরুলকে আবরো খাদিমনগর বিটে যোগদান করান। বহু বছর ধরেই সাদ বন ও বনের জায়গা এভাবে দখল করে অবৈধভাবে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বশির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মানিক মিয়া, সামছুল ইসলাম, তাহের মিয়া, নুরুল আমিন, কাশেম আলী, আকাছ উদ্দিন, সুহেল তালুকদার, জীবন মিয়া ও ফয়জুর রহমান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে