নোয়াখালী পৌর নির্বাচনে চলছে জম্পেস লড়াই
নোয়াখালী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৭, কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪ জনের জম্পেস লড়াই চলছে। পৌরসভা প্রচার-প্রচারণায় বিভিন্ন শিল্পী দিয়ে গান-বাজনা ও রাস্তায় রাস্তায় প্রার্থীদের অফিস। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হলেও ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। হোটেল আর চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনী আলোচনায় মেতে উঠেছেন ভোটাররা। ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার প্রতিটি অলিগলি, দোকানের সামনে, ফাঁকা জায়গায়, বাড়ির সম্মুখে ছেয়ে গেছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টার। নির্বাচনে মেয়র পদে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। মেয়র পদে তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সহিদুল ইসলাম কিরণ ও আবু নাছের, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন, কাজী আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির শামছুল ইসলাম মজনু ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মো. সহিদুল ইসলাম। ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ৬৩ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পৌরসভায় মোট ৭৫ হাজার ৭২৬ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৭ হাজার ৪০১ ও নারী ভোটার ৩৮ হাজার ৩২৫ জন। নির্বাচনে ৩৪টি কেন্দ্রে ৩৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ২০৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিকেন্দ্রে দুইজন করে মোট ৪১৬ জন পোলিং অফিসার আছেন। জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম কিরণ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ আছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে একটা শঙ্কা আছে শেষ পর্যন্ত এ পরিবেশ থাকবে কি না। নির্বাচন প্রসঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র শহিদউল্লাহ খান সোহেল মানবজমিনকে বলেন, ‘বিগত সময়ে আমার প্রতিটি কাজে পৌরবাসীর নিরঙ্কুশ সমর্থন পেয়েছি। গত ৫ বছরে পৌরসভার পুরো পৌর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র এখন দৃশ্যমান। কিন্তু আরও কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, পৌরবাসীর সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে আমাদের স্বপ্নের নোয়াখালী পৌরসভা গড়ে তুলতে পারবো।’ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে। ভোটাররা যাতে নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এজন্য নির্বাচন কমিশন থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, এক প্লাটুন বিজিবি, র্যাব ও পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।