সন্তানের প্রতিপালন সহজ কাজ নয়। ছোট্ট বয়সেই বড় হওয়ার ভিত তৈরি করতে হয়। শরীরের খেয়াল যেমন রাখতে হয়, তেমনই মগজাস্ত্রেও শান দেওয়াও প্রয়োজন। তার জন্য সহজ কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি অবলম্বন করলেই আপনার শিশুর বুদ্ধি হবে ক্ষুরধার।
শিশুদের সঙ্গে কথা বলার সময় অনেকেই মজার ছলে মুখের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। এমনটা করা ভাল বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে শিশুদের যোগাযোগের ক্ষমতা বাড়ে। আবার সেই অঙ্গভঙ্গি নকল করার প্রবনতা অনেক শিশুর মধ্যে থাকে। এতে তাদের স্মৃতিশক্তি ভাল হয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
শিশুদের স্মৃতিশক্তি ভাল করার আরেকটি উপায় হল মেমোরি গেম খেলা। এমন খেলা বুদ্ধি দিয়েই খেলতে হয়। ফলে শিশুদের যেমন বুদ্ধিতে শান দেওয়া হয়, তেমনই একাগ্রতা বাড়ে। খুব সহজেই তারা জটিল সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের শিক্ষার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মতো বৈদ্যুতীন সামগ্রীর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসই এখন বড় ভরসা। কিন্তু তাতে সন্তানের পড়ার অভ্যাসে প্রভাব পড়তে দেবেন না। পড়ার বইয়ের বাইরেও তাঁকে অন্য বই পড়ার উৎসাহও দিন। এতে তার জ্ঞানের পরিধি বাড়বে।
সংগীত বুদ্ধির ধার বাড়ায়। পাশাপাশি একাগ্রতা বাড়াতেও সাহায্য করে। গান শোনার পাশাপাশি মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট শেখাও ভাল। এতে মনও ভাল থাকে, আবার মাথাও শার্প থাকে।
স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। জাঙ্ক ফুড বা প্রসেসড ফুড যত এড়িয়ে চলা যায় ততই ভাল। সবুজ শাক-সবজি শরীরের পাশাপাশি মাথার পক্ষেও খুবই ভাল। আপনার শিশুর জন্য কোন ধরনের খাবার প্রয়োজন, তা আপনিই ভাল বুঝবেন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে পারেন।