নির্বাচনে ভোটারের চাওয়া পাওয়ার হিসেব কে রাখে?
কাল নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন। এবং এই নির্বাচন হচ্ছে ইভিএমের সাহায্যে। নির্বাচনের জয় পরাজয়ের পর কেউ গণতন্ত্রের জয় দেখবেন, কেউ বা দেখবেন পরাজয়। কিন্তু নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যারা – সেই ভোটার, অর্থাৎ মানুষ তাদের চাওযা পাওয়ার চেয়ে বড় হয়ে আলোচনায় ছিল শাসক দল আওয়ামী লীগের কোন্দল।
স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমান আর মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর গরম কথাবার্তা ভোটারদেরকে এই নির্বাচনের সব চাওয়া পাওয়ার আলোচনা থেকে দূরে রেখেছে পুরো সময়টায়। একটা স্থানীয় নির্বাচনে স্থানীয়দের চাহিদা নিয়ে উদাসীন থেকেছে রাজনৈতিক মহল, নাগরিক সমাজ এমনকি গণমাধ্যমও।
এই সিটি কর্পোরেশন বিগত দিনগুলোতে কতটা সেবা দিতে পেরেছে, কত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে, কতটা হয়নি, নতুন কী করা যায়, আগামী দিনের চাহিদা কী, নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন – এমন বিষয়গুলো উচ্চারিত হয়নি। নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ও সরব নাগরিক সমাজও দেখলাম না আমরা এবার।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে বামপন্থীরা কোন অবস্থানে আছে সেটাও পরিষ্কার হলো না এখন পর্যন্ত। রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে যারা আসেন তারা আনেক ঝুঁকি নিয়েই আসেন, যেমন এসেছেন তৈমুর আলম খন্দকার। এসে দল থেকে পদচ্যুত হয়েছেন। তবে তার দলের নারায়ণগঞ্জ অংশ তার সাথেই আছে, লন্ডন থেকে যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন। সেই বিশ্লেষণটাও অনুপস্থিত ছিল পুরো সময়।