বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার
২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত বিজয় দিবসের ৫০ বছরে পদার্পণ উদযাপন করেছে। পরের দিন অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে দুই সরকারপ্রধান ২০২১ সাল ও তত্পরবর্তী এজেন্ডা নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে বাংলাদেশ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যের একটি কন্টিনজেন্ট ভারতে যায়। সেটি মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পদার্পণ সামনে রেখে।
এদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য গত বছরের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। বলতে গেলে দুই নেতা ২০০৯ সালের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বহুমাত্রিক বাঁকবদল এনেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শীর্ষ বৈঠক ছিল গভীরতর সম্পৃক্তি, সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন, ইতিহাস-সংস্কৃতি-ভাষা এবং অন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্যের যৌথ বন্ধনভিত্তিক শক্তিশালী প্রতিবেশিতার সম্পর্ক বিনির্মাণের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও ধারাবাহিকতা। দুই নেতাই পুনর্ব্যক্ত করেন যে ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বসুলভ বন্ধনের ভিত্তিতে আবর্তিত এবং এতে সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও এমন বোঝাপড়ার প্রতিফলন হয়। বিচিত্র ধরনের সম্পৃক্ততা যেমন সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, সাইবার স্পেস, প্রতিরক্ষা ও ইন্টেলিজেন্সসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঐকমত্য বিরাজমান। এ ঐকমত্যের ভিত্তিতে উভয়ই বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।