ড. সেলিম হতে পারতেন এক দুর্দান্ত ‘মোটিভেশন-বিক্রেতা’
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক ড. সেলিম আবার আলোচনায় এলেন। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী অভিযোগে ৪৪ জন ছাত্রকে নানা মেয়াদে শাস্তি দেওয়ার খবর কয়েক দিন আগে এসেছে আমাদের সামনে। খবরটি দেখে মুহূর্তেই স্মৃতিতে চলে এসেছিল তার মর্মান্তিক মৃত্যুর সময়টির কথা।
ড. সেলিমের বাবার নাম শুক্কুর আলী। নাম নিয়ে আমাদের এক ধরনের স্টেরিওটাইপ ধারণা থাকে। নাম ব্যক্তির আর্থসামাজিক শ্রেণি সম্পর্কে এক ধরনের ধারণা দেয়, অন্তত আমরা অনেকেই মনে করি তেমনটা। লজ্জিত বোধ করলেও কথাটা আমি স্বীকার করছি– জনাব সেলিমের বাবার নাম জেনে আমার মনে হয়েছিল তিনি একজন প্রান্তিক মানুষ। তাই কৌতূহলবশত এই সংক্রান্ত খবর প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খুঁজেছিলাম।
কয়েকটি খবরে সেলিমের বাবাকে অকপটে বলতে দেখেছি, তিনি গরিব মানুষ, নিজের সর্বস্ব দিয়ে ছেলেটিকে লেখাপড়া করাতে চেষ্টা করেছিলেন। এরপর দেশের একটি পত্রিকা আমাদের সামনে নিয়ে এসেছিল আরও অবিশ্বাস্য এক সংগ্রামের গল্প। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি।
কুয়েটের শিক্ষক ড. সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী এবং বাবা-মা। খুব বেশি দিন পার হয়নি, তাই আশা করি ঘটনাটি আমাদের মনে আছে। তবু আবার একটু সংক্ষেপে বলে নিই।