মাধ্যমিক শিক্ষাকেও জাতীয়করণের সময় এসেছে
করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ১৮ মাস বন্ধের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে এখনো সীমিত পরিসরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। করোনাকালের নতুন বাস্তবতায় শিশুদের ‘নিরাপদে স্কুলে ফেরা’ বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী।
রাশেদা কে চৌধূরী: ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। এটা ভালো লাগার বিষয়। প্রথমত, আমরা আশা করেছিলাম, উৎসব করে স্কুল খোলা হবে। বাস্তবেও আমরা তা-ই দেখেছি। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে, যা খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য। তবু কিছু আশঙ্কার জায়গা তৈরি হয়েছে। সেটি হলো, শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা কীভাবে পুষিয়ে নেব। গণসাক্ষরতা অভিযানের এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্টে (নভেম্বর ২০২০) চারটি বড় ক্ষতির কথা উঠে এসেছে। প্রথমটি হলো, লেখাপড়ার ক্ষতি। অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষের পঠন-পাঠনের ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, খাদ্য ও আয় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকার কারণে শিশুশ্রম বাড়তে পারে। তৃতীয়ত, একই কারণে বাল্যবিবাহের আশঙ্কা বাড়তে পারে। চতুর্থত, শিশুদের অপুষ্টি বাড়তে পারে।
- ট্যাগ:
- সাক্ষাৎকার
- মতামত
- জাতীয়করণ
- মাধ্যমিক শিক্ষা