মোটা চালও ৫০ টাকা কেজি

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১:১০

হু হু করে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। বাজারে নাভিশ্বাস। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য দ্রব্যের পাশাপাশি বেড়েছে মোটা চালের দামও। এতে মহাবিপাকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। প্রতিদিনের চালের খরচ যোগাতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন। পাঁচ-ছয়জনের একটি পরিবারের শুধু চালের খরচ যোগাতে হচ্ছে একশ টাকা। কিছুটা নাগালে থাকা মোটা চালের দামও ছুঁয়েছে পঞ্চাশের কোটা।


এ অবস্থায় সরকারের খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমের ওপর ভরসা করছে এক শ্রেণির সাধারণ ভোক্তা। তবে সরকারের কাছে চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরেও বিতরণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে তা পৌঁছাচ্ছে না অধিকাংশ ভোক্তার কাছে।


রামপুরা থেকে পূর্বদিকের পথে নবীনবাগে (সিপাহীবাগ এলাকা) অনেক নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাস। সেখানে দুপুরে ছোট্ট একটি মুদিদোকানে সুরুজ হোসেন নামে একজন এসে জানতে চাইলেন, ‘মোটা চাল কত করে কেজি?’ দোকানি উত্তর দিলেন, পুরোপুরি ৫০ টাকা। দাম কিছুটা কমানোর জন্য সুরুজ মিয়ার তোড়জোরের পরে দোকানি বললেন; ‘ওএমএসের চাল খাও। সকালে ৩০ টাকায় পাবা।’


তখন সুরুজের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি জানান, বাবা-মা সন্তানসহ ছয় জনের সংসারে প্রতিদিন গড়ে দুই কেজি চাল প্রয়োজন হয়। এজন্য ১০০ টাকা জোগাড় করতে খুবই কষ্ট হয় তার। সপ্তাহে দু-একবেলা কাটে না খেয়েই। ৩০ টাকা কেজিতে সরকারের দেওয়া ওএমএসের মোটা চালও কিনে খেতে পারেন না সুরুজ মিয়ার পরিবারের লোকজন।


কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রিকশা চালাই, বৌ খাবারের হোটেলে ঠিকা (দিন চুক্তিভিত্তিক) কাজ করে। ওএমএসের চাল কিনতে গেলে ট্রাকে দীর্ঘ লাইনের কারণে একবেলা কেটে যায়। কয়েক টাকা বাঁচাতে গেলে এক বেলার কামাই হবে না। তাই কেনা হয় না।’


এ পরিস্থিতি পুরো শহর বা দেশের চিত্র না-ও হতে পারে। তবে চালের দামের কারণে অধিকাংশ প্রান্তিক মানুষ চাপে রয়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশা, ভ্যানচালকের মতো শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেশি।


রাজধানীর নিম্নবিত্ত শ্রেণির কয়েকজন জাগো নিউজকে জানান, তাদের সংসারের এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় চালের পেছনে। যা অন্য খরচের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও