শুভ নববর্ষ : বেঞ্চমার্ক কিন্তু একাত্তর
একেই বোধ হয় বলে ‘পড়বি পড় মালির ঘাড়ে’। আজ শনিবার দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘সেলাই করা খোলা মুখ’ নিয়ে আপনাদের সামনে আমার হাজির হওয়ার কথা। সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দের কিছু কথামালা আমরা লেখক-পাঠক উভয়ে শেয়ার করব, অনেকটা ‘এক অন্ধ আরেক অন্ধকে পথের খবর’ জিগ্যেস করার মতো। (উপমাটি শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোনো একটি উপন্যাস থেকে ধার করা। বেশ কয়েক যুগ আগে ছাত্রজীবনে সেই উপন্যাসটি পড়েছিলাম, এখন দুঃখিত তার নাম মনে নেই।) যা হোক, আসল কথা হলো, এই কলামে আমি চেষ্টা করি আমার ও আপনাদের মনোজগতে যেসব বিষয় প্রায়শই আকুলি-বিকুলি করে সেগুলোতে তেল-মসলা মাখিয়ে চেখে দেখতে। আমাদের উভয় পক্ষ এবং পত্রিকা কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে, যথাসম্ভব কারো পা না মাড়িয়ে, কারো ভুরু কোঁচকানোর সুযোগ না দিয়ে, এ আমাদের এক ধরনের পাক্ষিক বিশ্রম্ভালাপ বলা যেতে পারে। এতে ‘মনোভার নামাতে পারার’ এক ধরনের পরিতৃপ্তি তো আছে বটেই আমার। আর আপনারাও মনে হয় আমার আচরণে খুব একটা কুপিত বোধ করেন না। যা হোক, এভাবেই তো পার হয়ে গেল প্রায় এক দশক। (নাকি আরো বেশি)। আপনাদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে সেলাই করা মুখের সতর্ক ও শাস্ত্রসম্মত ব্যাদান স্বাস্থ্যকর মনে করেই ওটা যথাসাধ্য অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু বিপদে পড়ে যাই যখন কোনো গুরুগম্ভীর বিষয় আচমকাই হুড়মুড় করে ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। যেমন হয়েছে আজকে।