দগ্ধ রোগীদের মানসিক চিকিৎসাও দরকার
ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন মহিউদ্দিন (৩৮)। বাড়ি বরগুনার গোসাইখালী। স্ত্রী, বৃদ্ধা মা, দুই ছেলে আছে তার সংসারে। ঢাকায় কাজ করে শুক্রবার বন্ধের সময় প্রায়ই আসেন বরগুনায়। গত ২৩ ডিসেম্বর অভিযান-১০ লঞ্চে পরিবারের কাছে ফিরছিলেন। পথে ভয়াবহ আগুনে মহিউদ্দিনের হাত, পা, কোমরসহ শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী বার্ন ইউনিটের শয্যায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন এই শ্রমজীবী। কথা বলতে গেলে শুরুতেই বলেন, ‘স্যার, মোর কী অইবে? মোর সংসারের কী অইবে? মানসে কইত্যাছে, পোড়া নাকি সহজে হুগায় না। মোর সংসারডা কেডা দ্যাখবে?’
একই ওয়ার্ডের নারীদের শয্যায় বৃদ্ধা দেলু বেগমকে ঘিরে কাঁদছিলেন কিছু স্বজন। তার মেয়ে কুলসুম বলেন, বরগুনার খেজুরতলায় তাদের বাড়ি। তার বোন সেমু ও সেমুর তিন বছরের যমজ সন্তান লামিয়া ও সামিয়া লঞ্চে পুড়ে মারা গেছে। সেমুর স্বামী রফিকুল স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজ রাখতেন। এ কারণে সেমু বড় বোন কুলসুমের ঢাকার নয়াটোলার বাসায় গিয়ে থাকে। সেখান থেকে মেয়ে ও দুই নাতনিকে নিজেদের বাড়িতে নিতে আসতে ওই লঞ্চে চড়েন বৃদ্ধা মা দেলু বেগম।