২০২১ এক ভয়ংকর বছরের নাম
কখনো ভালোর পাল্লা ভারি হয়, কখনো মন্দের৷ তবে সবসময়ই অন্ধকার সুরঙ্গের শেষে আলোর দেখা মেলে৷ ২০২১ সম্পর্কে একথাটা যেন খুবই বেশি করে সত্যি৷ বছরটা শুরু হয়েছিল করোনা-আতঙ্ক দিয়ে৷ চারপাশে শুধু আতঙ্ক, হতাশা, মৃত্যুর ছবি৷ মনে হচ্ছিল, এই অন্ধকার সময় যেন আর কাটবে না৷ লকডাউন, ঘরবন্দি মানুষ, অ্যাম্বুলেন্সের আতঙ্ক-জাগানিয়া সাইরেনের শব্দ মনকে বিবশ করে দিত৷ কিন্তু ওই যে খারাপের শেষে ভালোর ঝলক থাকে৷ দুঃখ, মৃত্যুর পরও থেকে যায় আশা, থেকে যায় প্রাণের নিত্য ধারা, তাই সব শেষ হয় না, হতে পারে না৷
করোনা, আতঙ্ক এবং মৃত্যুমিছিল
সে এক সময় গেছে ভারতে, বিশেষ করে দিল্লিতে৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ৷ বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর পুলিশে ছুঁলে অসংখ্য, এটা শোনা ছিল৷ করোনায় ছুঁলে যে সোজা মৃত্যুর ঘা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তা দেখিয়ে দিয়েছে৷ দিল্লির বুকে এক চিলতে কলকাতা বলে পরিচিত চিত্তরঞ্জন পার্ক৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শুধু এখানেই মারা গেছেন ৭৫০ জন৷ দিল্লিতে তখন অ্যাম্বুলেন্স নেই, হাসপাতাল খাট নেই, অক্সিজেন নেই৷ প্রাণদায়ী অক্সিজেন পাওয়া গেলেও রোগী বাঁচবে কি না সন্দেহ৷ মরেও শান্তি নেই৷ শ্মশান, কবরস্থানে দীর্ঘ লাইন৷ সৎকার করতে বেলা পার হয়ে যায়৷