মহামারি মোকাবেলার চ্যালেঞ্জ ও আমাদের প্রস্তুতি
দুই বছর ধরে করোনা ও বিশ্ব মুখোমুুখি। বিশ্বের ২০০ দেশের ৮০০ কোটি মানুষ এ অদৃশ্য শক্তির একের পর এক ঢেউ ও ধরনের আবির্ভাবে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। এ যুদ্ধে প্রাণহানি ৫৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী না হলেও জ্ঞান-বিজ্ঞানে আধুনিক বিশ্বকে হিমশিম খেতে হচ্ছে একে সামলাতে। এটি শুধু মৃত্যুর মিছিলকে দীর্ঘতর করছে তা-ই নয়, প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে আমাদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নও।
মহামারির শুরু থেকেই দরিদ্র, উন্নয়নশীল, মধ্যম আয়ের এমনকি উন্নত দেশগুলোও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ এবং অনাগত মহামারি প্রতিরোধে শক্তিশালী স্বাস্থ্যকাঠামো বিনির্মাণের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, তথ্যের আদান-প্রদান, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ, যথাযথ স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুুভূত হয়। সে লক্ষ্যে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২৭ ডিসেম্বর বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহামারি মোকাবেলা প্রস্তুতি দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।