'আরসা' যে তিন কারণে হুমকি

সমকাল ড. দেলোয়ার হোসেন প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:২৬

সম্প্রতি মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রুস বাংলাদেশ সফরকালে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন ও অপহরণে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার যুক্ততার বিষয়ে তথ্য থাকার দাবি করেছেন। পরে অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ দাবি নাকচ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ এবং আরও ছয় রোহিঙ্গা নেতা খুনের পর থেকে কক্সবাজারে আরসা তথা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির উপস্থিতির বিষয়টি জোরের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। সরকারের দাবি অনুযায়ী, এখানে আরসার উপস্থিতি এখনও না থাকলেও আমাদের সতর্কতার বিষয় রয়েছে অবশ্যই।


মিয়ানমারে ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর হারাকা আল-ইয়াকিন নামে যাত্রা শুরু করে বিদ্রোহী গ্রুপটি। পরে তারা আরসা নামে কাজ করে। সশস্ত্র এই গ্রুপটি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকারের নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে। তবে ২০১৬ সাল থেকে তাদের অবস্থান বড় আকারে প্রকাশ পায়, যখন এর সদস্যরা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলা করে। ওই হামলায় মিয়ানমারের ৯ পুলিশ সদস্য প্রাণ হারায়। অনেকের মতে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে আরসার যোগাযোগ রয়েছে। তারা গেরিলা পদ্ধতিতে হঠাৎ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট তাদের হামলায় ১২ নিরাপত্তারক্ষী মৃত্যুবরণ করেছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে, জাতিসংঘ তাকে জাতিগত হত্যার 'টেক্সটবুক' উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করে। যার ফলে রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। ওই সময় বিশেষ করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই ঘটনায় সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়। সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসার নেতৃত্বে আছেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া আতাউল্লাহ, যিনি আবু আম্মার নামেও পরিচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও