নজরদারির অভাব সব দুর্ঘটনার মূল কারণ

ড. মো. শামসুল হক প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৫৮

একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, আগুন নেভানোর জন্য সরঞ্জাম ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব, নদী থেকে পাইপ দিয়ে পানি তোলার মতো ন্যূনতম ব্যবস্থা না থাকা এবং শুরুতে আগুন নেভানোর কোনো চেষ্টা না করার কারণেই অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। দুর্ঘটনাটির পর বিআইডাব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম নিজের মুখে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নৌযানগুলোতে দুর্ঘটনার অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করা হলেও অগ্নিকাণ্ডের মহড়া আসলে এত দিন হয়নি। এবার আমরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দেব।’ সুতরাং তাঁর কথাতেই এই দুর্ঘটনার পেছনে অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।


প্রকৃতপক্ষে আমাদের নৌ, সড়ক ও রেলপথে যত দুর্ঘটনা ঘটে, সবই অবহেলার জন্য ঘটে। আর এই অবহেলা হচ্ছে মূলত পরিচালনা বা প্রায়োগিক স্তরে। একটা কিছু উন্নয়নের পর এর পরিচালনার দিকে নিবিড় নজর দিতে হয়। পরিবহনের ক্ষেত্রে কারা যানবাহন চালাবে, মাঠ পর্যায়ে যানবাহন ও রুট নজরদারি কারা করবে, তাদের কে নিয়ন্ত্রণ করবে, ওপরের দিকে কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব কতটুকু থাকবে—সেটা সুস্পষ্ট ও জবাবদিহিমূলক করতে হয়। আমাদের সড়কে যেমন নসিমন-করিমন বা ভটভটি আছে, নৌপথেও এ রকম অনেক রেজিস্ট্রিবিহীন যান আছে। এগুলো আছে মানে আমাদের অবহেলাও আছে। এর বিপরীতে আমাদের কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নেই। রেলওয়ের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি ইঞ্জিন কেনার পর ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।


মূল সমস্যাই হচ্ছে এই দেখার কাজটিতে অনীহা। আমাদের একেকটা সংস্থায় একদম ওপর থেকে মাঝারি স্তর পর্যন্ত, বিশেষ করে সুপারভাইজার পর্যন্ত সবার চোখই ওপরের দিকে নিবদ্ধ থাকে। নিচের দিকে যে লোকবল দেওয়া হয়েছে তাদের কাজটা কেউ দেখে না। আবার কোথাও কোথাও লোকের ঘাটতি আছে, তা পূরণ করা হয় না। সরকারি সংস্থাগুলোতে এই ঘাটতিগুলো জিইয়ে রেখে ওপর মহলের অবহেলাকে সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আমরা বারবার হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলো দেখি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও