আসামি ধরতে পুরস্কার কতটা কার্যকর?
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুজন আসামিকে ধরিয়ে দিতে সম্প্রতি ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা প্রায় ৪৩ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষনা করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত পলাতক আসামি মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন নিলয় হলেন এই মামলার আসামি। অভিজিৎ রায়ের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্তের পর থেকে অপরাধীদের ওপর পুরস্কার ঘোষণা এবং এ ধরনের কৌশলের কার্যকারিতার বিষয়টি সামনে আসে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, পলাতক ব্যক্তিদের উপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করতে কর্তৃপক্ষ কখনও কখনও পুরষ্কার ঘোষণা করে। এতে করে তাদের চলাচল ব্যাহত হয় এবং এটি তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে।
পুলিশ এক সাবেক মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "অভিজিৎ হত্যাসহ বেশ কিছু জঙ্গি ঘটনায় ২০১৬ সালে পলাতক মেজর জিয়াকে ধরিয়ে দিতে সে সময় প্রায় ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পুরস্কারের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় এই দফায় তার খোঁজ মিলতেও পারে।"