বার্ন ইউনিট বন্ধ, দগ্ধদের চিকিৎসা সার্জারি ওয়ার্ডের মেঝেতে
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে দগ্ধ ৭০ জনকে নেয়া হয়েছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে এই হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বন্ধ গত বছরের মার্চ থেকে। এতে দগ্ধরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
দগ্ধ আলামিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তার স্বজন জলিল উদ্দিন। তিনি বলেন, কোনো রকম মলম দিয়ে চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকও নেই এখানে।
হাসপাতালের নার্স রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটটি বন্ধ থাকায় রোগীদের সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে মেঝেতে সেবা নিচ্ছেন অনেকে। হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় কাউকে কাউকে রাখা হয়েছে সিঁড়িতে।
সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দগ্ধ আট শিশুসহ ৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।