মডেল নির্বাচন নয়, জনগণ স্বচ্ছ নির্বাচন চায়
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন; বিশেষ করে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অভিনব এবং ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, এতে দ্বিমত নেই। শত শত অভিযোগ থাকলেও এই দুই ধাপের নির্বাচন নিয়ে দারুণ তৃপ্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তৃতীয় দফা নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সচিব মহোদয় যে মন্তব্য করেছেন, তা নির্বাচন নিয়ে আগের সব তৃপ্তি ছাড়িয়ে গেছে। তৃতীয় ধাপে ছয়জনের তাৎক্ষণিক মৃত্যুর (যার মধ্যে আমার জানামতে, প্রথম একজন আধা সামরিক বিজিবি সদস্যও ছিলেন) পর তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচন নাকি ‘মডেল নির্বাচন’ হয়েছে। সচিব সাহেবকে ধন্যবাদ দিতে হয় অকপট সত্য কথা বলার জন্য! এটা মডেল নির্বাচনই বটে! তিনি যদি আগামী কমিশনের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন, তবে এই ‘মডেল নির্বাচনের’ ধারাবাহিকতা দেখা যেতে পারে।
সত্যিই তো, গত প্রায় পাঁচ বছর আমরা নানা ধরনের নির্বাচনের মডেল দেখেছি। ২০১৪ সাল থেকে এ ধরনের ‘মডেল নির্বাচন’ শুরু হলেও অন্তত স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো সেই মডেল অনুসরণ করেনি। ২০১৪ সালের একতরফা জাতীয় নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের পরিণতি বলে পাশ কাটানো গেলেও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ওই দোহাই দেওয়ার সুযোগ ছিল না।