‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ’ গল্পের চরিত্রদের ‘চাল’-চিত্র
উন্নয়নের যে রাজনৈতিক ‘ভাষ্য’ দাঁড় করানো হয়েছে, তাতে গণমানুষের বাস বা ভাত—কোনোটারই ঠাঁই হয়নি। তাই আজদাহা উড়ালপুলের নিচে রাত পার করা আজন্ত গৃহহীনদের দিকে নজর নেই কারও; আকাশচুম্বী দরদালানের পাশে ফুটপাতে পড়ে থাকা সম্বলহীনদের অবস্থারও কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তেমনি আলোচনায় নেই প্রশস্ত মসৃণ মহাসড়কের ধারে সংকীর্ণ ঝুপড়িঘরের মলিন বাসিন্দারা; ইতিউতি চলমান মেগা প্রকল্পের আশপাশের ‘স্মল’ গরিবগুরবাও সমানভাবে উপেক্ষিত।
‘উন্নয়নের ফেরিওয়ালাদের’ যেন এ কথাই এক দফায় মনে করিয়ে দিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটির ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি প্রতিবেদন-২০২১’ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষ মাঝারি ও তীব্র খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। অর্থাৎ দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের তিন বেলার আহার জুটবে—এমন নিশ্চয়তা নেই। হাঘর, হাভাত এসব মানুষেরও অবশ্য উন্নয়নের ফিরিস্তি অজানা নয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- উন্নয়ন
- খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা