পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে বাংলাদেশের জনগণ। আমি স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের একজন অংশগ্রহণকারী হিসাবে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। আরও সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে হানাদারবাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসরদের কালো হাত এড়িয়ে আজও বেঁচে আছি এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছি। শুধু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীই নয়, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ পূর্তিও উদযাপন করছি।
এ উদ্যাপনের অংশগ্রহণকারী হিসাবে আমার আনন্দ হচ্ছে। আনন্দ হচ্ছে এই ভেবে যে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১৯৭১-এর ৭ মার্চ তারিখে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ, যাকে জাতিসংঘ একটি কালজয়ী এবং বিশেষ স্বীকৃতি দিয়ে তালিকাভুক্ত করেছে-তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে স্বকর্ণে শুনেছি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি আরও একটি কারণে। ত হলো : আমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দসৈনিক হিসাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি।