তাঁদের শূন্যতা আমরা আজও বহন করে চলেছি
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর সকালবেলা। মুক্তিযুদ্ধের নানা পরিক্রমায় আমরা কয়েকজন যারা আগরতলার বিশ্রামগঞ্জ মুক্তিবাহিনী হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কর্মরত ছিলাম, বন্ধু কেকা করীমের আশ্রয়ে তখন কলকাতাবাসী। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ মনের ভেতর একই ভাবনা, একই উদ্বেগ। কেমন আছে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে রেখে আসা আত্মীয়–পরিজন, বন্ধুবান্ধব, স্বজনেরা। কবে দেশ স্বাধীন হবে? দেশে ফিরে সবাইকে দেখতে পাব তো!
তখন তো মোবাইলের যুগ শুরু হয়নি। মালিকের টেলিফোনে ডাক পড়ল আমার। অপর পারে মুক্তিযুদ্ধের শুভানুধ্যায়ী প্রিয় গৌরীদি, গৌরী আইয়ূবের কণ্ঠ। ‘তাড়াতাড়ি রেডিও ধরো, তোমরা বিজয় অর্জন করেছ।’ কয়েক মুহূর্তের জন্য যেন আমার হৃৎস্পন্দন থেমে গেল। দৌড়ে ঘরে এসে সবাইকে ডাকলাম। রেডিওর বোতাম ঘোরানো মাত্র খুব পরিচিত, খুব কাছের এবং শ্রদ্ধেয় কয়েকজন ব্যক্তির নাম শুনতে পেলাম।