বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষত নিরাময় করতে হবে
আমরা বিজয়ের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি। তার আগে জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। কিন্তু পাকিস্তানি হানাদাররা তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত বাঙালি বিধনযজ্ঞ চালিয়েছিল। আমরা জানি, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত থেকে পাকিস্তানি সেনারা শুরু করেছিল আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়ে জাতিকে স্তব্ধ করে দিতে। তারা তা পারেনি, যদিও নৃশংসতা-বর্বরতা চালিয়েছিল চূড়ান্তভাবেই। বাঙালির নয় মাসের যুদ্ধ শেষে বিজয় যখন প্রায় দোরগোড়ায়, ১৪ ডিসেম্বর তারা পরাজয়ের মুখে প্রতিশোধ স্পৃহায় আরও উন্মত্ত হয় ওঠে।
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলে পড়ে জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে। বাংলাদেশ প্রতি বছর ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। কিন্তু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে নিধনযজ্ঞের শিকার হয়েছিল বাঙালি জাতি, ওই বর্বরোচিত অধ্যায়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমরা লাভ করতে পারিনি। আমি মনে করি, মোটা দাগে বলতে গেলে তিনটি কারণে এখন পর্যন্ত আমরা তা পারিনি।