চাকরি পাওয়ার অধিকার কি তবে শ্রেণিগত?
বছর দুয়েক আগে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম। গল্পটির নাম ছিল ‘নদীর ডাকঘর’। সেটি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গল্পটি ছিল একটি লাশের পরিচয় নিয়ে, যিনি কিনা একজন নারী। লাশটির নাম পরিচয় এবং ঠিকানা কেউ জানে না। মেয়েটিকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে কবর দেওয়া হয়। লাশের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে মেয়েটির পরিচয় জানা যায়। মেয়েটি বেদে সম্প্রদায়ের এবং তার কোনও স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। তাই মেয়েটির পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। গল্পটি শেষ হয়েছিল এইভাবে যে মানুষের স্থায়ী ঠিকানার যে মূল ধারণা জমি এবং আবাসন সেটি সবার নাও থাকতে পারে। জমি কেন্দ্রিক ঠিকানার ধারণা খুবই সাম্প্রতিক।
গল্পটির মতোই শুধু স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে সমস্যা তৈরি হয়েছিল বরিশালের হিজলা উপজেলার আসপিয়া ইসলামের। পরে অবশ্য গণমাধ্যমে এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আসপিয়া। শুধু নিয়োগের অপেক্ষায় ছিলেন এবং শেষ মুহূর্তে আসে বিপত্তি। বলা হয় যে আসপিয়া ও তার পরিবারের কেউ ভূমির মালিক নয় এবং এই জন্যই ‘পুলিশে তার চাকরি হবে না’ বলে জানানো হয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ঠিকানা
- 'বেওয়ারিশ'
- পুলিশ কনস্টেবল
- চাকুরি
- আবাসন