মুরাদকাণ্ড: লাভক্ষতি এবং শিক্ষা!
মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার নিজের কথা। আর কথা হলো ছুঁড়ে দেয়া তীরের মত। একবার বেরিয়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনার উপায় নেই। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে এমপি আর ৪৫ বছর বয়সে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ডা. মুরাদ হাসানের সামনে লম্বা এবং ঝলমলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ছিল। কিন্তু তিনি ডেকে এনে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরেছেন। স্রেফ বেফাঁস কথাবার্তায় সব হারিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন, দলের পদ হারিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সংসদ সদস্যপদও হারাতে পারেন। সব হারিয়ে নীরবে দেশ ছেড়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। কিন্তু কপাল এমনই খারাপ ভিসা থাকলেও কানাডায় তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এসবই হয়েছে তার নিজের লাগামছাড়া কথার কারণে। মুরাদের আজকের পরিণতির জন্য তিনি নিজেই দায়ী।