ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিদ্যুৎ খাত

যুগান্তর বিকাশ দেওয়ান প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:১৪

৫০ বছর আগে যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের জন্য পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং জর্জ হ্যারিসনরা যখন তাদের দল নিয়ে বিশ্বজুড়ে কনসার্ট করে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন, তখন কেউ কল্পনাও করেনি পরবর্তী অর্ধশতাব্দীর মধ্যে এই দেশটি হয়ে উঠবে পৃথিবীর বুকে একটি বিস্ময়ের নাম। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এ মাহেন্দ্রক্ষণে বিশ্বের কাছে আজ বাংলাদেশের পরিচয় এশিয়ার নতুন অর্থনৈতিক তারকা হিসাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। পৃথিবীর বুকে মর্যাদাবান জাতি হিসাবে গড়ে উঠে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য তরুণ বয়স থেকেই অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রীর বয়ান থেকেই জানা যায়, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি তিনি পেয়েছেন তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই। দেশের গণমানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল জগতে প্রবেশ এবং এর সঠিক ব্যবহারের বিকল্প নেই। এ বিষয়টি উপলব্ধি করে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ গ্রহণ করানোর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কেবল স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। তথ্যপ্রযুক্তির বাহনে চড়ে দুরন্ত গতিতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল সেবা।



ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিনির্ভর অর্থনীতির খোলস থেকে বেরিয়ে এসে শিল্পায়নের ছোঁয়ায় অর্থনীতির মজবুত ভিত গড়তে দেশে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিল্পনির্ভর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যুৎ খাতকে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই বিদ্যুৎ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২০০৯ সালে যখন সারা দেশে সীমাহীন বিদ্যুৎ সংকট চলছিল, তখন বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণের অসম্ভব চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা, স্বপ্ন ও ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় অনেকে হয়তো খুব বেশি আশান্বিত হতে পারেননি; কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্তের দেশ। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন বিদ্যুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই। দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ কেপিআই স্থাপনাসহ রাজধানী ঢাকা শহরের অধিকাংশ জায়গায় এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) দায়িত্ব এক্ষেত্রে আরও বেশি। শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ করলেই হবে না, নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেক গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। সেবক হয়ে সেবা করার মনমানসিকতায় কাজ করে গ্রাহকদের কাছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিপিডিসি। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও সাড়ে আট লাখ গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় আনার জন্য প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। বিতরণ নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি, অটোমেশন এবং আধুনিকীকরণের জন্য নতুন নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও