চারদিকে হঠাৎ এত অস্থিরতা কেন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর তিনি বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনেছিলেন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সড়কে দেশটা উঠে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে বছর দুই আগে মন্তব্য করেছিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের ছোঁয়া দেখিয়েছে তা এর আগের ২৮ বছর যাঁরা সরকার চালিয়েছিলেন তাঁরা কেউ দেখাতে পারেননি। শেখ হাসিনার এবারের তিন মেয়াদে বাংলাদেশ খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায়। এই তিন মেয়াদে তিনি দেশটার সম্পূর্ণ চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন। যে দেশটির ভবিষ্যৎ ও স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকা নিয়ে বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ আর বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, সেই দেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৩তম অর্থনীতির দেশ (সাধারণ বা নমিনাল অর্থে)। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২৪তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ বহুমুখী সেতু বানানোর সাহস দেখিয়েছে। চলছে আরো একাধিক মেগাপ্রকল্পের কাজ। যার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ উল্লেখযোগ্য। এরই মধ্যে বাংলাদেশ মহাকাশে উপগ্রহ পাঠিয়েছে।